স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা পারকিনসন্স রোগটির গতিধারাকে পাঁচটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন। সেগুলো অনুযায়ী রোগটির পর্যায় নির্ণয় করা হয়।
পর্যায় ১
এটি খুবই মৃদু পর্যায়। এখানে সামান্য পরিবর্তন ছাড়া খুব কমই লক্ষণ প্রকাশ পায়। সাধারণত, এসব পরিবর্তন শরীরের একটি পাশে পরিলক্ষিত হয়।
পর্যায় ২
এই পর্যায়ে মুখের অভিব্যক্তি পরিবর্তন, কাঁপা এবং পেশিগুলো শক্ত হয়ে যাওয়া ও কম্পনের মতো বিভিন্ন উপসর্গ প্রকাশ পায়। উপসর্গগুলো শরীরের উভয় পাশে পরিলক্ষিত হলেও শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয় না।
পর্যায় ৩
এই পর্যায়ে উপসর্গগুলো একটা লাফ দেয়, ফলে শরীর ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে এবং পতনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তবে রোগী কোনো সাহায্য ছাড়া তার দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাতে পারেন।
পর্যায় ৪
রোগটির এ পর্যায়ে রোগীর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। কোনো সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতে অসুবিধা হয়। অন্যান্য পেশির নড়াচড়া এবং প্রতিক্রিয়াও ধীর হয়ে যায়। রোগীকে একা রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
পর্যায় ৫
এই পর্যায়ে রোগীর ২৪ ঘণ্টা সাহায্য প্রয়োজন। কারণ, রোগী নিজে কিছুই করতে পারেন না। হয় তিনি হুইলচেয়ারে থাকেন, নয়তো শয্যাশায়ী থাকেন।