আহ্বায়ক, মুভমেন্ট ডিজঅর্ডার সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
পৃথিবীজুড়েই মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। তবে ৬০ বছর বা তদূর্ধ্ব মানুষের এই রোগ দেখা দেয়। এর কম বয়সীদের যে হবে না, তা বলা যাবে না। সাধারণত ষােটার্ধ্ব মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আমাদের দেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। এ রোগের হার নির্দিষ্ট করে আমরা বলতে পারি না কারণ, আমাদের দেশে এ নিয়ে তেমন সমীক্ষা হয়নি। তবে আমাদের কাছাকাছি দেশগুলো যেমন ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড প্রভৃতি জায়গায় দুটি হার দেখতে পাই। একটি হার হচ্ছে প্রতিবছর এক লাখ লোকের মধ্যে কতজন এই অসুখে আক্রান্ত হন। আরেকটা হচ্ছে এই রোগে কতজন ভুগছেন। অসুখটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে রোগীদের যে উপসর্গ থাকে, তা কমানো সম্ভব। পৃথিবীজুড়ে ১২০ জন প্রতি লাখে এ রোগে আক্রান্ত হন। বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রতি লাখে ৮ থেকে ২১ শতাংশ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন। বাংলাদেশ এর বাইরে নেই। ভারতের পশ্চিমে রোগটা বেশি, পূর্ব দিকে কম। আমরা যদি পশ্চিমবঙ্গকে ধরি, সেখানে দেখা যায় সাধারণত প্রতি লাখে প্রতিবছরে ৮ থেকে ১০ শতাংশ আক্রান্ত হন। বাংলাদেশের হারটাও এর কাছাকাছি। যদিও বাংলাদেশে এখনো আমরা এ রকম গবেষণা চালাতে পারিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ষাটোর্ধ্ব মানুেষর মধ্যে ১ শতাংশ পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশে ২০৩০ সালের পর এর ব্যাপকতা অনেক বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ ও এশিয়ার দেশগুলোতে ১০০ জনে শূন্য দশমিক ৩ জন আক্রান্ত। রোগটা ছোঁয়াচে নয়। ১৫ থেকে ২০ ভাগ ক্ষেত্রে এটা বংশগত রোগ। আমাদের ক্রোমোসোমের মধ্যে যে জিন আছে, তার মধ্যে বিশেষ কিছু জিন একজন থেকে আরেকজনে ছড়াতে পারে। বাবার এ রোগ থাকলে ছেলের হতে পারে।