বয়স হলে মানুষের স্বাভাবিক হাঁটাচলা কমে যায়। তবে চলা ফেরায় অতিমাত্রায় ধীরগতি, হাত-পা কাপাঁ বা শারীরিক ভারসাম্য রাখা কঠিন হলে তা পারকিনসনস নামের স্নায়ুরোগের লক্ষণ হতে পারে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণযোগ্য, কিন্তু একেবারেই নিরাময়যোগ্য নয়। সাধারনত ৬০ বছরের উর্ধ্ব বয়সীদের পারকিনসনস দেখা দেয়। অল্প বয়সীদেরও এই ঝুঁকি আছে। তবে সচেতন থাকলে পারকিনসনস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই এর স্টডিওতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। আগামী ১১ এপ্রিল বিশ্ব পারকিনসনস দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুভমেন্ট ডিজঅর্ডার সোসাইটি অব বাংলাদেশ। এতে সায়েন্টফিক পার্টনার ছিল হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। অনুষ্ঠানে সোসাইটি অব নিউরোলজিস্টস অব বাংলাদেশের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ কোরাইশি বলেন, পারকিনসনস মস্তিষ্কের বিশেষ জায়গার কোষ মারা গেলে যে রোগ হয়, তাকে পারকিনসনস বলে। একই সংগঠনের মহাসচিব আবু নাসার রিজভী বলেন, মস্তিষ্কের কোষ শুকিয়ে নষ্ট হলে তা চিকিৎসা করে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। শুরুতে চিকিৎসা হলে রোগী অনেক দিন ভালো থাকে। পারকিনসনস রোগের বেশীর ভাগ ঔষধ সহজলভ্য। খুব বেশী জটিল রোগীর ক্ষেএে ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স ও হাসপাতালের অধ্যাপক এমএস জহিরুল হক চৌধুরী বলেন, সাধারনত হাত পা কাঁপা, হাঁটাচলায় অনেক ধীর গতি, হাত পায়ের মাংস শক্ত হওয়া, সোজা হয়ে দাড়াতে না পারা এসব পারকিনসনসের লক্ষণ। ৬০ এর বেশী বয়সী ব্যক্তিদের এ রোগের আক্রান্ত হতে দেখা যায়। অল্প বয়সীদেরও এ রোগ হতে পারে। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক হাসান জাহিদুর রহমান বলেন, ধরা হয়ে থাকে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ১২০ জন এ রোগে আক্রান্ত। এটি ছোঁয়াচে নয়, তবে বিশেষ কিছু জিনের কারনে বংশপরম্পরায় এ রোগ হতে পারে। সংগঠনটির সদস্যসচিব আহসান হাবিবের মতে, রোগীর পরিবারের সদস্যদের পারকিনসনস সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি।